Header Ads

তুমি দুঃখীদের দ্বারে দ্বারে। আন-নূর নিউজ




লিখেছেন:-    উসামা বিন আফজাল ♦

বলছি মাওঃ হাবিবুর রহমান মিসবাহ এর কথা, যখন বিশ্বজুড়ে প্রাণঘাতী কোভিড19 এর রাজত্ব।আর তা প্রাণবিনাসী এক আতঙ্কের নাম। যা সাঙ্গ করে দিলো পৃথিবীর  সব আয়োজন আর আমোদ প্রমোদ।থমকে দাঁড়িয়েছে পুরো পৃথিবী, নিস্তব্ধ নির্জন আজ শহরগুলো। কেউ আর আপন অবস্থানে নেই, নেই কেউ আর চাকরীতে, ব্যবসায়,বিদ্যালয়ে,  এখন আর কেউই পর কে নিয়ে ভাবছে না,ভাবছে শুধু নিজকে নিয়ে  ,শুধু একটি ধ্বনি সবার অন্তরে অন্তরে আমি  বাঁচতে চাই।সবাই  যখন একটু বাঁচার তাগিদে সব কিছু বন্ধ করে ঘরবন্দী জীবন যাপন করছে ,বস্তুবাদীরা যখন দুশ্চিন্তার দরিয়ায় হাবুডুবু খাচ্ছে।আর কথিত মানবতাবাদীরাও যখন আত্মরক্ষার  কথাই শুধুই ভাবছে। 
ঠিক করোনার এ দুঃসময়ে ও মানবতার মাওলানাগণ ভুলে যাননি জাতির কথা।তাঁরা জীবনের ঝুঁকি নিয়ে ভাবছেন ভাইরাসে মৃত সকল মানবের দাফন কাপনের কথা, ভাবছেন হতদরিদ্রদের কথা যারা এখন দু বেলার  অন্ন জোগাতে অক্ষম, নিজের প্রাণের  মায়া ছিন্ন করে সব ভয় উপেক্ষা করে যারা এই কঠিন সময়ে দুঃখী মানুষের দু'বেলা খাবার জোগাতে দরদী মানবসেবকের ভূমিকা পালন করছেন, তাঁদের অন্যতম হলেন প্রতিভাবান আলেমেদ্বীন মাওঃ হাবিবুর রহমান মিসবাহ।

যিনিরাতভর না ঘুমিয়ে মানুষের খাবার প্যাকেটিং এর কাজ করছেন আর দিনভর বিলি করছেন অথচ নিজেকে নিয়ে কোন চিন্তাই নেই ,তাঁর তৃপ্তি আর প্রশান্তি এখন এই জনসেবায়, তিনি সৃষ্টির সেবায় অনন্য দৃষ্টান্ত  স্থাপন করেছেন, এত বড় আলেম হয়েও নিজে ভ্যান চালিয়ে বস্তি এলাকার গরিবদের মাঝে দুপুরের খাবার বিলানোর ছবি এখন সবার কাছেই ভাইরাল,করোনা ভাইরাসের দুর্যোগকালে সবাই থেমে গেলেও থেমে যাননি মাওলানাগণ,তাঁর প্রতিষ্ঠিত ইকরামুল মুসলিমিন ফাউন্ডেশন  ও মারকাজুল ইসলামী সহ অসংখ্য ইসলামীক এনজিও দেশবাসীর পাশে দাঁড়িয়েছে,আজ স্বজনদেরকে কেউ নিজ হাতে কবর দিতে রাজি নয় কিন্তু মাওলানাগন ঠিকই পরকেও দাফন কাপন করছেন। তাঁরা ভাবছেন যদিও ব্যক্তিটি করোনার থাবায় মৃত্যু বরণ করেছে তবে সেতো মানুষ,এই অবহেলিত মানুষদের সেবায় নিবেদিত মানবতার ফেরিওয়ালা মিসবাহ সাহেব ও তাঁর ফাউন্ডেশন। 

তিনি আমাদের হাবীবুর রহমান মিসবাহ, আমাদের গৌরব, আমাদের অহংকার,আমাদের প্রেরণা, আমাদের চেতনা।তিনি কখনো থামতে জানেন না, কখনো তাকে দেখতে পাই  ছিন্নমূল টেকনাফের রোহিঙ্গা বসতিগুলোতে। আবার কখনো দুর্যোগ কবলিত ক্ষতিগ্রস্থ জনপদে, আবার কখনো তিনি ইলমে নববীর একজন আদর্শ উস্তাদ, কখনো তিনি চেতনাময়ী কন্ঠস্বর।আবার তিনি ভাষণ বক্তৃতায় একজন  প্রতিবাদী স্পিকার।তিনিই কিন্তু আবার বয়ানের ময়দানে দরদমাখা একজন দাঈ,তিনি একজন ক্ষুরধার কলম সৈনিক ও বটে। একজন মানুষ এতদিকে কাজ করতে পারেন তা একমাত্র আল্লাহর অনুগ্রহ ও তাওফীকের উসিলায়।মহান রব তাদের পরিবারের তিন ভাইকেই দ্বীনের জন্যে কবুল করেছেন, এমন পরিবার দেশ জুড়ে আর কয়টি বা আছে! ধন্য তাদের বাবা, ধন্য তাদের জননী,বরিশালের 

কুয়াকাটায় জন্ম নেয়া এই অদম্য সৈনিক  চলছে অবিরাম তার সম্মুখপানে , এই চলা দীর্ঘ হোক, এই মিশন সফল হোক, অনাবিল সুখের বৃষ্টি বর্ষিত হোক দুঃখী মানুষের তরে, দ্বীনের জন্যে আর মানুষের জন্যে তাঁর খেদমত আরো প্রসারিত হোক।