Header Ads

দয়া করে বেফাক এবং হাইয়াকে বাঁচান!; মাওলানা রেজাউল করিম আবরার। আন-নূর মিডিয়া।


  দয়া করে বেফাক এবং হাইয়াকে বাঁচান!   


-মুফতি রেজাউল করিম আবরার  


আন-নূর মিডিয়া, ২১ জুলা, ২০২০   

আল্লামা আহমদ শফি বয়সের ভারে নুয়ে পড়েছেন। এ মুহূর্তে বিবৃতি দেওয়ার মতো শারীরিক সক্ষমতা তার নেই।  তাকে দেখলে একজন নাবালকও এ কথা চোখ বুজে বলবে। তিনি তদন্ত করে কোন বিষয়ের সমাধানে পৌঁছাতে পারবেন,  এ কথা কোন পাগলেও বিশ্বাস করবে না। 

 বেফাক নিয়ে জলঘোলা কম হলো না।  বেফাক মহাসচিব মাওলানা আবদুল কুদ্দুস সাহেবের কিছু বিতর্কিত বিষয় নিয়ে পুরো কওমি অঙ্গনে অস্থিরতা বিরাজ করছে। যে অভিযোগে কিছুদিন পূর্বে বেফাকের তিনজন দায়িত্বশীলকে অপসারণ করা হয়েছিল, সে ধরণের অভিযোগ মহাসচিবের বিরুদ্ধে থাকার পরও সেদিন  তাকে অব্যহতি প্রদান করা হয়নি। তিনিও ইস্তেফা দেন নি। 

শুনেছিলাম মুরব্বিরা আবদুল কুদ্দুস সাহেবের বিষয়গুলো নিয়ে তদন্ত করবেন। আমরা আশা করছিলাম যে চক্ষু লজ্জার ভয়ে হলেও কিছু একটা হবে। কিন্তু আজকে আহমদ শফি সাহেবের বিবৃতি হৃদয়টা ধুমড়ে- মুচড়ে দিয়েছে। 

আনাস মাদানী এবং আবদুল কুদ্দুস সাহেব কওমির জন্য ক্যান্সার হয়ে দাঁড়িয়েছেন। এখন অপারেশন করা ছাড়া বিকল্প আর কোন পথ খোলা নেই। টুপি, পাঞ্জাবি পরিধান করে যারা চলে, তারা অন্তত পোশাকের প্রতি সম্মান রেখে অনেক অপরাধ করতে যায় না। আমার কারণে যেন মানুষ রাসুল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর সুন্নাহ নিয়ে হাসাহাসি না করে। 

আমাদের মহাসচিব সাহেব এতটা পদলোভী হয়েছেন যে, লজ্জা শরমের মাথা খেয়ে ফেলেছেন। পুরো দেশ তাকে ধিক্কার দিলেও তিনি আল্লামা আহমদ শফিকে পূঁজি করে মহাসচিব পদে থাকতেই চাচ্ছেন! আজকের বিবৃতি নামের যে ইতরামি তারা করেছেন, এর কারণে একজন দেওবন্দি হিসেবে আমি লজ্জিত। 

প্রিয় মুরব্বিয়ানে কেরাম! আহমদ শফি সাহেব একজন অশীতিপর বৃদ্ধ মানুষ। ২০১৩ সালে আল্লাহ তার মাধ্যমে দ্বীনের বিশাল খেদমত নিয়েছিলেন। এর অর্থ এই নয় যে, সর্বদা তাকে সবকিছুর শীর্ষ পদে থাকতে হবে। দয়া করে আপনারা তার উপর আর জুলুম করবেন না। আপনারা তাকে দায়িত্ব  থেকে মুক্তি না দিলে তাকে ঢাল বানিয়ে আকামÑ ক‚কাম চলতে থাকবে। প্লিজ, দয়া করে বেফাক এবং হাইয়াকে বাঁচান